আর্থিক সহায়তা পেল নিঃস্ব হওয়া অরণ্য পলাশ


সিনেমা বানাতে গিয়ে নিঃস্ব হওয়া অরণ্য পলাশ রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেন। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো পেশাই অসম্মানের নয়। আমি নিজেও বিদেশে রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছি। আমি যখন বিদেশে পড়াশুনা করতাম, তখন হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম। সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম। একদিন দু দিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস। আসলে কোনো কাজই অসম্মানের নয়।
সিনেমা বানাতে গিয়ে গিয়ে আর্থিকভাবে নিঃস্ব হওয়া অরণ্য পলাশকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশের হাতে নিজের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী।
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মো. মিজান-উল-আলম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অরণ‌্য পলাশ নির্মিত ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব- সবার সাথে আলোচনা করেছি যে, তাকে আমরা কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি কি না। আজকে তাকে ডেকেছি ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্যে। কারণ, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেয়, সেটার একটা কমিটি আছে। সে কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদিত হতে হয়। কমিটির সাথে আমি কথা বলব, তার এই চলচ্চিত্র যাতে মুক্তি পায়। সেজন্য আরো কী খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে, আর কী সহায়তা দরকার, কমিটির সাথে সে বিষয়ে আলোচনা করব।’

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.