গ্রাম থেকে শহর বন্দরের সাধারণ মানুষ পেঁয়াজের ঝাঁজে নাজেহাল।

পার্বণ ডেস্ক ঃ 
র্পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ যেখানে যাবেন এখন শুধু পেঁয়াজের কথায় শুনবেন, কেননা এখন দেশের প্রধান আলোচনা হল পেঁয়াজ নিয়ে। দিন দিন পেঁয়াজের দাম আকাশ ছয়াল হয়ে যাচ্ছ, চলে যাচ্ছে নিন্মবৃত্ত মানুষের কেনার সীমার বাহিরে। অনেকেই পেঁয়াজ ছাড়া রান্না বান্না চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে চারিদিকে যখন পেঁয়াজ নিয়ে এতো আলোচনা ঠিক তখনই উচ্চমূল্যের সেই পচা ২০ টন পেঁয়াজ ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে অসাধু পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
শুধুই কি ডাস্টবিনের ২০ টন পচা পেঁয়াজ?  শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গীবাজার ব্রিজঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতেও ফেলে গেছে ৭-৮ বস্তা পচা পেঁয়াজ।
এসব ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নগরবাসীর মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা নূরুল আজিম রনি তার ফেসবুক পেজে ছবিটি শেয়ার করে লেখেন, “অতীতে চাল নিয়ে এনাম গংদের চালবাজি আমরা দেখেছি। এবার পেঁয়াজবাজি দেখলাম। সরকারের কাছে জনগনের অনুরোধ, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। আঙ্গুল বাঁকা করুন। জীবিত হোক-মৃত হোক এদের চেহারা জনগনের সামনে নিয়ে আসা দরকার। নয়তো এরাই ৭৪ সালের কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের মতো ঘটনা আবারো সামনে নিয়ে আসবে”।
ফরহাদ হোসেন নামে একজন লেখেন, সরকারের কাছে আমরা সাধারণ জনগনের দাবি এইসব সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের চিহ্নিত করে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা হোক এবং উপোযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক। এমন শাস্তি দেওয়া হোক যেন ভবিষ্যতে কোন ব্যবসায়ী মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে এমন বাজে সিন্ডিকেট তৈরি না করতে না পারে।
আমদানিকৃত পেঁয়াজ পচা হওয়ায় এমন কাজ করেছেন বলে একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। পেঁয়াজ পচা হওয়ায় তাদের ব্যাপক লোকসান হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.