প্রত্যাশার ম্যাচে লড়াইয়ের পুঁজি ১৫৩
পিস রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। সর্বশেষ দুই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করা দল দুইশ' ছোঁয়া রান করে এখানে। সেভাবে বড় রানের ইঙ্গিত দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশও। দুই ওপেনার শুরুতে তুলে ফেলেন ৬০ রান। কিন্তু হুট করেই পথ হারায় বাংলাদেশ। শুরুর তিন ব্যাটসম্যান সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি। মাহমুদুল্লাহও সেট হয়ে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত তাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানে থামে বাংলাদেশ।
ওপেনার লিটন দাস ২৯ রান করে সাজঘরে যাওয়ার পথ দেখিয়ে যান। তিনি দু'বার জীবন পেয়ে, উইকেটে সেট হয়েও বড় রান করতে পারেনি। রান আউট হয়ে ফিরে যান। তার আউট নিয়েও আছে প্রশ্ন। নিজের ভুলে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে ভালোর ইঙ্গিত দেওয়া নাঈম হাসান আউট হন ৩৬ রান করে। বাংলাদেশ ৮৩ রানে হারায় দুই উইকেট।
সেখান থেকে হঠাৎ করেই ১০৩ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরপর ফিরে যান মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকার। দিল্লিতে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা মুশফিক ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। প্রথম ম্যাচে ভালো খেলা সৌম্য সরকার এ ম্যাচেও সেট হয়ে ফিরে যান। তিনি ২০ বলে ৩০ রান করে আউট হন। আফিফ হোসেনও ব্যাটে রান পাননি। সৌম্য-নাঈমদের মতো মাহমুদুল্লাহও সেট হয়ে আউট হন। তিনি ২১ বলে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস।
স্লগ ওভারে দল ভরসা রেখেছিল মোসাদ্দেক হোসেনে। কিন্তু তিনি ৯ বল খেলে কোন বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি। রান করেন মাত্র ৭। এছাড়া লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম ৫ বলে খেলেন ৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকের ওই বলগুলোতে রান হলেও সংগ্রহ বাড়তো দলের। কিন্তু ব্যর্থ হন তারা।
ভারতের হয়ে দিপক চাহার, খলিল আহমেদ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর একটি করে উইকেট নেন। এই ভারতের সেরা ভরসা যুজবেন্দ্র চাহাল। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান তার ওপরই বেশি চড়াও হন। তার খেসারতও দিতে হয় দলকে। দলের দুই সেরা ভরসা মুশফিক এবং সৌম্য তার ফাঁদে পা দিয়ে আউট হন। লিটনও তার বলে রান আউট হন। একবার জীবনও পান চাহালের বলে
কোন মন্তব্য নেই