চলো যাই সেন্টমার্টিনে

পার্বণ ট্রিপঃ
জাহাজের তালিকায় কেয়ারী সিন্দবাদ পছন্দের হলেও এইবার গেলাম এমভি ফারহান জাহাজে করে। কেয়ারীর মতই এই জাহাজে ওপেন ডেক রয়েছে। দোতলা, তিনতলা দুই ফ্লোরই খোলা হওয়ায় দুইপাশ থেকে সমুদ্র/নদী দেখা যায়। আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
এমভি ফারহানে জাহাজে প্রতিটি জায়গায়তে ময়লা ফেলার ঝুড়ি আছে লক্ষ্য করলাম। বিষয়টা ভালো লেগেছে। তবে দিনশেষে ময়লা কোথায় ফেলা হচ্ছে সেটাই দেখার বিষয়!
আটলান্টিক ক্রুজ নামে নতুন একটা জাহাজ এসেছে। আসলে এটি আগের এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজ। শুধু নাম পরিবর্তন হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তবে ডিসেম্বর, জানুয়ারীতে ভালোই ভিড় হবে। টানা বন্ধের দিনগুলোতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বাস,জাহাজ,রিসোর্ট বুক করে ফেলুন।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফের রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। তাই যত আগের সময়ের বাসে উঠবেন ততই ভালো। নাহলে ডিসেম্বর, জানুয়ারীর রাশ টাইমে জাহাজ মিস করার সম্ভাবনা রয়েছে।

রিসোর্ট দূরে হলে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে নেমেই ভ্যান ভাড়া করবেন না। ভাড়া ৩০০-৪০০ করে চাইবে। একটু হেঁটে সামনে চলে যান ভাড়া কমে যাবে। হোটেল অবকাশ পর্যন্ত যেতে জেটি ঘাটে চাইবে ৩০০-৪০০ টাকা। যত সামনে যেতে থাকবেন ভাড়া কমে ১০০-১২০ টাকা হয়ে যাবে।
রিসোর্টের ভাড়া এবার গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে মনে হলো।

যারা দুই রাত থাকবেন তাদের জন্য ছোট্ট একটা টিপসঃ
চেষ্টা করবেন যেকোন একদিন পশ্চিম বিচ ধরে হাঁটার। পশ্চিম দিকে যত যেতে থাকবেন সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য তত বেশি রুপে আপনার কাছে ধরা দিতে থাকবে।
ছবিগুলো যা দেওয়া আছে সব পশ্চিম বিচ থেকে তোলা। বিশাল এক কোরালের ছবি আছে সেটাও পশ্চিম বিচের, ছেঁড়াদ্বীপের না কিন্তু।

*জাহাজের ভাড়া গতবছর পর্যন্ত সর্বনিম্ন ছিলো ৫৫০ টাকা। এই বছর সেটা ৬৫০ টাকা হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে যদিও এখনো অত ভীড় হয় নি তবু বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন মনে হলো। নতুন করে যারা যাচ্ছেন আপনারা ময়লা ফেলার ব্যাপারে সর্তক থাকবেন। সব জায়গাতেই ময়লা ফেলার ব্যবস্থা আছে, যদি খুঁজে না পান তাহলে নিজের কাছে রেখে পরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবেন।
কোন মন্তব্য নেই