অবসাদে ভুগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন।


Image result for কোহলই

পার্বণ ডেস্কঃ 
যে যত বড় খেলোওয়াড় হোক না কেন ক্যারিয়ারের কোন একটা সময়ে এসে সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়বে। হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে খেলে ছেড়ে দেওয়ার কথাও চিন্তা করবে। না পারবে ছাড়তে না পারবে ভাল খেলতে তার পাশাপাশি থাকবে কারও সাথে বিষয়টা নিয়ে না বলতে পারার কষ্ট। এমন অনেকেই আছে। 
মার্কাস ট্রেসকোথিক, জোনাথন ট্রট, স্টিভ হার্মিসন, ম্যাথু হগার্ড, শন টেইট, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল—ক্রিকেটের এই তারকাদের মধ্যে মিল কোথায়, বলতে পারবেন?
এদের সবাই ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে মানসিক অবসাদে ভুগেছেন। ট্রেসকোথিকের সৌজন্যেই এটা প্রথম জানা যায়। সেটি বেশ ভয়াবহ, হেলাফেলা করার মতো অবশ্যই নয়। ট্রেসকোথিক, ট্রটরা অবসাদে ভুগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। ফ্লিনটফ, হার্মিসন ও হগার্ডের মতো কেউ কেউ অবসাদের সঙ্গে লড়াই করেই ক্রিকেট চালিয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ অবসাদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দূরেও থেকেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইট যার মধ্যে অন্যতম। কিছুদিন আগেই মানসিক অবসাদের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তবে আপনাদের এখন যে খেলোওয়াড়ের কথা বলবো আপনারা পড়ার পরে আসলেই ভাবনায় পড়ে যাবেন। কারণ তিনি এখন বিশ্বের তারকা খেলোওয়াড়, যার খেলা দেখলে শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয়। কোথায় নেয় সে, তবে অন্য সব হতাশায় ভুগতে থাকা খেলো ওয়ারদের সাথে একটি জায়গায় তার মিল আছে। তিনিও একসময় ভেবেছিলেন আর খেলবেন না, বিরক্তির কারণ ছিল তখন খেলা। একবার ভাবুন তো সেই সময় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলে কোথায় দেখতাম ছন্দময় খেলা যেটা আজ আমরা তার কাছ থেকে দেখছি।    
হ্যাঁ বলছি সময়ের তারকা খেলোওয়াড় বিরাট কোহলির কথা, বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে ফাঁস করলেন পুরনো কথা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানালেন, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর তিনিও অবসাদে ভুগেছিলেন। ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন অনেকবার।
Image result for কোহলই

সেই ইংল্যান্ড সফরটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছিল ভারত অধিনায়কের। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কোহলির রান ছিল মাত্র ১৩৪। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, লিয়াম প্লাঙ্কেট, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডানদের বিষ মেশানো সুইংয়ের মোকাবিলা কোনোভাবেই করতে পারছিলেন না তিনি। বাজে পারফরম্যান্সের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল কোহলির মনস্তত্বেও। সিরিজ শেষে অবসর নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন তিনি, ‘ক্যারিয়ারে এমন কিছু সময় গেছে যখন মনে হয়েছে সবকিছু শেষ। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কাকে কী বলব, কীভাবে বলব সেটাও জানতাম না। আমি যে মানসিকভাবে ভালো নেই, ক্রিকেট থেকে যে দূরে থাকতে চাইছি সেটাও বলার মতো মানুষ খুঁজে পাইনি আমি। মানসিক অসুস্থতার ব্যাপারটা সবাই কীভাবে নেবে সেটা বুঝে উঠতে পারিনি। এসব ব্যাপার একদমই হেলাফেলা করা উচিত নয়। একজন ক্রিকেটারের ব্যাপারে সব সময় দলের খেয়াল রাখা উচিত।’
ভারতের কোনো খেলোয়াড় কখনো মানসিক অবসাদের কারণে অবসর নেননি, বা সাময়িক বিরতিতেও যাননি। ভবিষ্যতে কেউ এ রকম কিছু করলে সেটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখার আহ্বান জানিয়েছেন কোহলি, ‘আমি এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। আসলে সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। অন্য কে কী ভাবছে সেটা বোঝার উপায় নেই একদম। কিছু সময়ের জন্য খেলা থেকে দূরে থাকলে যদি আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটে, তাহলে সেটাই করা উচিত। এটাকে কোনোভাবেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত না। সবার সঙ্গেই এমন হয়। অস্বাভাবিক কিছু না এটা।’

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.