নাচে গানে লোকসংগীত উৎসব।


Image result for শফিকুলের কণ্ঠের মাধুর্য মুগ্ধতা ছড়াল দ্বিতীয় সন্ধ্যা
পার্বণ ডেস্কঃ 
শফিকুলের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি, গান গেয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছে অনেক আগেই। তবে প্রথম বারের মত ঢাকা আন্তর্জাতিক লোক সংগীত অনুষ্ঠানে গান গেয়ে হাজার হাজার দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। পরিচিত গান গুলোর সুর তোলার সাথে সাথে সকলেই মিলে এক সাথে সেই গান করেছেন। গান শেষে পেয়েছেন সকলের হাততালি। প্রথমবারের মত বিদেশী শিল্পীদের সাথে মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পেরে দারুন উচ্ছ্বাসিত শফিকুল।  
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে মাইক্রোফোন হাতে মঞ্চে উঠেই সবাইকে স্বাগত জানান শফিকুল শুরু করেন শাহ আব্দুল করিমের ‘মন মজাইলা ওরে বাউলা গান’ এর পরিবেশনা দিয়ে শুরু করেন। এরপর গাইলেন ‘ও তুমি কই গেলা বন্ধুরে’ কি সুন্দর এক গানের পাখি’ দিয়ে নিজের পরিবেশনা শেষ করেন।
শফিকুলের পরই মঞ্চে আসেন লোকসংগীতশিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি। ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র এই শিল্পীর পর সঙ্গীত পরিবেশন করবেন-বাংলাদেশের মালেক কাওয়াল, ফকির শাহাবুদ্দিন, পাকিস্তানের হিনা নাসরুল্লাহ ও মালির হাবিব কইটে অ্যান্ড বামাদা। ফকির শাহাবুদ্দিনের গানের সাথে সাথে পুরো স্টেডিয়াম নেচেছে। প্রাণ খুলে আনন্দ করেছে সকলে এক্ষেত্রে বয়সের কোন বাধা ছিল না। 
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সমাপনী দিনে সংগীত পরিবেশন করবেন- বাংলাদেশের কাজল দেওয়ান ও চন্দনা মজুমদার এবং পাকিস্তানের ব্যান্ডদল ‘জুনুন’ ও রাশিয়ার ‘সাত্তুমা’।
আয়োজকরা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের জন্য দর্শকদের প্রতিদিন এন্ট্রি পাস দেখাতে হবে। হেডফোন, চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। এছাড়া রাত ১০টার পর অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশদ্বার বন্ধ হয়ে যাবে।
আয়োজকরা আরও জানান, উৎসব প্রাঙ্গনে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। তবে অনুষ্ঠান শেষে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে দর্শকদের জন্য পাঁচটি ভিন্ন রুটে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.