শিক্ষককের বাড়িতে চুরির ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলামের ঘটনাস্থল পরিদর্শন।

মোঃ নুরুজ্জামান: শ্যামনগর উপজেলা সদরে শিক্ষককের বাড়িতে চুরির ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি ঘিরে তদন্তের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। আজ শনিবার দুপুর একটার দিকে উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামিরুল ইসলাম ও শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা। সম্রতি শ্যামনগর সদরে প্রতিনিয়ত চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগরের চুরির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সেনাসদস্য, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি সহ সাধারণ পরিবার। স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের গোপালপুর রাধা কৃষ্ণ গোবিন্দ মন্দির সংলগ্ন স্কুল শিক্ষক কাজল কান্তি গাইনের বাড়ীতে চুরির বিষয়টি নিয়ে বেশ ভাবিয়ে তুলছে শ্যামনগর উপজেলা বাসির। চেতনা নাশক ঔষধ স্প্রের মাধ্যমে ওই শিক্ষক পরিবারের সকলকে অজ্ঞান করে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। ইতিপূর্বে উপজেলার বাদঘাটা গ্ৰামে বসবাসরত জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কর্মরত সেনা সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিনের বাড়ি এবং গোপালপুর গ্ৰামে সাংবাদিক মুকুল, প্রফেসর পর্থিক মন্ডল, সদর ইউপি সদস্যা দেলোয়ারা বেগমের মেয়ে মোছাঃ মনজুআরা খাতুনের বাড়ি সহ আরো অনেক গুলো পরিবার থেকে চোরের দল নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার সহ মুল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এভাবে আর কত দিন চোরের অত্যাচার সইবে এলাকাবাসি? এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। স্থানীয়দের ধারণা মাদকাসক্ত যুবকরাই এলাকায় চুরি করছে। বিষয়টি জরুরী তদন্ত করে চোরদের আইনের আওতায় এনে কঠোর হস্তে দমন করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.