মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলা।
ছুটি শেষে গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে চাঙ্গি এয়ারপোর্টে এসে নেমেছি, তখন এত প্রকোপ ছিলোনা এই ভাইরাসে।
২৩ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করে *এনসিআইডি'তে পাঠিয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় "আইকনিক কান্ট্রি" হিসেবে আমরা সিঙ্গাপুরকে জানি। এখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো ও নিরাপদ হওয়ার কারণে সবাই ভরসার জায়গায় এই দেশটি অনন্য। আর চায়নার সাথে সিঙ্গাপুরের ক্লোজ কন্টাক্ট থাকার কারণে আমাদের ঝুঁকি ছিলো অনেক বেশি।
২৩ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করে *এনসিআইডি'তে পাঠিয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় "আইকনিক কান্ট্রি" হিসেবে আমরা সিঙ্গাপুরকে জানি। এখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো ও নিরাপদ হওয়ার কারণে সবাই ভরসার জায়গায় এই দেশটি অনন্য। আর চায়নার সাথে সিঙ্গাপুরের ক্লোজ কন্টাক্ট থাকার কারণে আমাদের ঝুঁকি ছিলো অনেক বেশি।
সিঙ্গাপুরে এই ভাইরাস আসার পর থেকেই আমরা দেখেছি কিভাবে এই দেশের সরকার ও মানুষজন ভাইরাস মোকাবেলায় কতটুকু কাজ করেছে।
সেজন্য আমি যা দেখেছি, সেটা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কয়েকটি ধাপে সবগুলো কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে।
শুরুতেই কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হলে সোয়াব টেস্ট করে নির্ধারণ করা হচ্ছে তার ভাইরাস। পজিটিভ হলে। এরমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মাল্টি - মিনিস্ট্রি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী লরেন্স ওং। ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে *এসসিডিএফ এর স্পেশাল টিম দিয়ে এনসিআইডিতে স্থানান্তরিত করা হয়, এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও *এসপিএফ (পুলিশ) এর পক্ষ থেকে কন্টাক্ট ট্রেসিং করা হচ্ছে, কারণ আক্রান্ত ব্যক্তিরা যাদের সাথে সত্তর যোগাযোগ করেছে তাদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক ওএনক বেশি, সেজন্য তারা কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন, স্টে হোম নোটিস ও লিভ অফ অবসেন্স দেওয়া হয়। পরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়।
একই সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেসব জায়গায় ভ্রমণ করেছে সেসব স্থান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে ডিজইনফেক্ট (জীবাণুমুক্ত) করা হয়।
শুরু থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় সবাইকে পরিকশোনারী মেজার্স দেওয়া হচ্ছে সবসময়। সেই সাথে প্রত্যেক জায়গায় সকল কর্মীদের দিনে দুইবার বডি টেম্পারেচার চেক করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারো টেম্পারেচার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলেই হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। বাস ট্রেন পাবলিক প্রেস সব জায়গায় দিনের কয়েকবার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।
এই ভাইরাস আসার পর থেকে ভাইরাস মোকাবেলায় প্রত্যেকটা কাজ ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ করা হচ্ছে সেকারণে এখনো সিঙ্গাপুরে ততোটা মহামারিতে রূপ ধারণ করেনি।
সেজন্য আমি যা দেখেছি, সেটা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কয়েকটি ধাপে সবগুলো কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে।
শুরুতেই কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হলে সোয়াব টেস্ট করে নির্ধারণ করা হচ্ছে তার ভাইরাস। পজিটিভ হলে। এরমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মাল্টি - মিনিস্ট্রি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী লরেন্স ওং। ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে *এসসিডিএফ এর স্পেশাল টিম দিয়ে এনসিআইডিতে স্থানান্তরিত করা হয়, এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও *এসপিএফ (পুলিশ) এর পক্ষ থেকে কন্টাক্ট ট্রেসিং করা হচ্ছে, কারণ আক্রান্ত ব্যক্তিরা যাদের সাথে সত্তর যোগাযোগ করেছে তাদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক ওএনক বেশি, সেজন্য তারা কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন, স্টে হোম নোটিস ও লিভ অফ অবসেন্স দেওয়া হয়। পরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়।
একই সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেসব জায়গায় ভ্রমণ করেছে সেসব স্থান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে ডিজইনফেক্ট (জীবাণুমুক্ত) করা হয়।
শুরু থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় সবাইকে পরিকশোনারী মেজার্স দেওয়া হচ্ছে সবসময়। সেই সাথে প্রত্যেক জায়গায় সকল কর্মীদের দিনে দুইবার বডি টেম্পারেচার চেক করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারো টেম্পারেচার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলেই হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। বাস ট্রেন পাবলিক প্রেস সব জায়গায় দিনের কয়েকবার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।
এই ভাইরাস আসার পর থেকে ভাইরাস মোকাবেলায় প্রত্যেকটা কাজ ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ করা হচ্ছে সেকারণে এখনো সিঙ্গাপুরে ততোটা মহামারিতে রূপ ধারণ করেনি।
শুধু সরকারের পক্ষ থেকেই নয়, সামাজিকভাবেই সিঙ্গাপুরের প্রত্যেক বাসিন্দারা নিরাপদ বলয় গড়ে তুলেছেন, একে ওপরের সহযোগিতা করছেন।
বিশেষ করে হেলথকেয়ার সেক্টরে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য স্টাফরা যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে মানবিকতার সাথে কাজ করছেন তাদেরকে জনসাধানরনের পক্ষ থেকে দারুন সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা প্রদান করা হচ্ছে।
আজ পর্যন্ত এইসব মানুষদের জন্য, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ খাবার, পানীয় থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, মধ্যে রাতে বাসায় ফেরা জন্য বিনামূল্যে যাতায়াতেরও নজির দেখেছি আমরা।
এটি বড় পৃথিবীর খুবই ছোট্ট একটা দেশের মানুষদের আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছি।
বিশেষ করে হেলথকেয়ার সেক্টরে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য স্টাফরা যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে মানবিকতার সাথে কাজ করছেন তাদেরকে জনসাধানরনের পক্ষ থেকে দারুন সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা প্রদান করা হচ্ছে।
আজ পর্যন্ত এইসব মানুষদের জন্য, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ খাবার, পানীয় থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, মধ্যে রাতে বাসায় ফেরা জন্য বিনামূল্যে যাতায়াতেরও নজির দেখেছি আমরা।
এটি বড় পৃথিবীর খুবই ছোট্ট একটা দেশের মানুষদের আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই