নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে দাও

চৈতি তুমি বর্ষার নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে দাও
আমার ফসলি জমিনে,এখনো কাদার প্যাক প্যাক।
গরুর গাড়ি নেই আমার, শক্ত জমিন হলেই
কৃষক কৃষানি ফিরবে ত্রিমাস কিংবা বারমাসের খোরাকি মাথায় ঘর্মাক্ত ললাটে,নীড়ে।
উঠানে মাড়িয়ে শুকাতে দাও হাজার কৃষকের নুনভাত।

চৈতি তুমি বর্ষার নিমন্ত্রণ দিও না।
পাকির আলীর পাকা ধান এখনো মাঁচায় ওঠেনি।
খনন সমাপ্ত হয়নি বধু স্নানের ডুবাখানি।
এখনো অনেক কাজ, চালে গুজাহয়নি
সোনালি নাড়ার নাড়ি।
বৈশেখ আমায় ভয় দেখায় তাড়াতাড়ি নড়েবসো।
অরক্ষিত রেখোনা কলা বন।
নির্ধারিত সময় তোমার তাপ বিকিরণ করো।
মুটকোদের শরীর থেকে বেরিয়ে যাক
চৈতির চর্বি।
মাঠ ভরা তরমুজ নানাদি ফসল রক্ষা হোক
চৈতি নিমন্ত্রণ করোনা অসময়ে বর্ষার ঝর্ণা।
এখনো গত বছরের চামড়া গতরে রয়েছে ঢেড়।

কবি; অনিন্দ্য আনিস