যেটা আমরা জানি না!

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের ব্রোংকিউল গুলি যখন ফ্লামেটেড হয় এবং জলীয় পদার্থ জমে তখন শ্বসনের মাধ্যমে নেয়া অক্সিজেন অক্সি হিমোগ্লোবিনে রুপান্তরে বাধা প্রাপ্ত হয়। শুরু হয় শ্বাস কষ্ট এবং নিউমোনিয়া। এরুপ সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে ভেন্টিলেটর লাগে। এটি তৈরি করা সহজ কোন বিষয় না। আপনারা হয়তো জেনেছেন ওয়ালটন দেশে ভেন্টিলেটর তৈরি করতে যাচ্ছে। কিন্তু এত হাইটেক জিনিস তারা কিভাবে বানাবে? বলা হচ্ছে আমেরিকান কোম্পানি Medtronic ওয়ালটন কে সব ধরনের সহায়তা করবে। এখানে প্রশ্ন আসে Medtronic কেন ওয়ালটন কে এই ক্রান্তিকালে সহায়তা করছে?? এর পেছনে একজন বাংলাদেশীর প্রতি কৃতজ্ঞতা না প্রকাশ করলে অন্যায় হবে। তিনি হলেন বিশ্বের এক নম্বব মেডিকেল ইকুইপমেন্ট নির্মাতা কোম্পানি Medtronic এর CEO জনাব ওমর ইসরাক। এই কোম্পানির সম্পদের পরিমান $১০০ বিলিয়নের বেশি। সারা বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ কাজ করে এই কোম্পানিতে। ঠিক এরকম একটি কোম্পানির CEO জনাব ওমর ইসরাক ঢাকায় জন্ম গ্রহন করা এবং সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়া একজন গর্বিত বাংলাদেশী। তার আরেকটি পরিচয় আছে। Intel কে চেনেনা এমন মানুষ খুব কম আছে। জনাব ওমর ইসরাক এই Intel কোম্পানির চেয়ারম্যান। ফেসবুকে ভারতীয়রা গর্ব করে নাসায় তাদের অমুক তমুক বিজ্ঞানী আছে, গুগলে আছে ইত্যাদি। কিন্তু আমারা বাংলাদেশীরা কখনো এদেশের সফল মানুষদের চিনতে চাইনা। আগ্রহ পায়না। কোভিট-১৯ এর এই দুর্যোগে জনাব ওমর ইসরাক Medtronic কোম্পানির তৈরি করা PB-560 ভেন্টিলেটর এর সত্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যে কেউ চাইলে এখন থেকে ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন নিয়ে এটি তৈরি করতে পারবে। ওয়ালটনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে Medtronic শ্রদ্ধা স্যারের প্রতি। আমাদের সকলকে এই ক্রান্তিকালে এক হতে হবে। লড়তে হবে। গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে। আর স্বাস্থবিধী মেনে চলতে হবে। ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.