অভিমান নয়, নয় আক্ষেপ ।
পার্বণ ডেস্কঃ
এইচএসসি'১৫ নামে একটা ব্যাচ ছিলো।
সেই ব্যাচটা যখন ২০০৭ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে, কিছুদিন পরেই প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে হাইস্কুলে পদার্পণের দিনক্ষণ গুনছে তখনই ঘটে গেলো স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সামুদ্রিক ঝড় ‘সিডরের' ধ্বংসযজ্ঞ।
-
এই ব্যাচটাই যখন ২০১০ সালে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে, নিম্ন-মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে প্রবেশ করার অাশায় বিভোর, তখনই প্রথম বারের মতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা চালু হলো যেখানে অাবার একদিনে ২ টা করে পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো, সকালে ইংরেজি প্রথম অাবার বিকেলে ইংরেজি দ্বিতীয়।
-
২০১৩ সালে যখন এই থারটিন ব্যাচ এসএসসি পরীক্ষা দিতে বসলো, তখন দেশ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল। পরীক্ষার হলে বসে "যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই স্লোগান" শুনতে শুনতে এসএসসি পরীক্ষা টা শেষ করলো।
-
২০১৩ সালের মাঝামাঝি এই ব্যাচ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। ২০১৩ এর শেষের দিকে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড "তোমরাই সেরা, তোমরাই অাগামীর" এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ঘোষনা দেয় এসএসসি তে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত দের বিনামূল্য টেলিটকের স্পেশাল প্যাকেজ সংবলিত অাগামী সিম উপহার হিসেবে দিবে। ফ্রি সিমের দুর্দান্ত সব অফার ভোগ করতে করতে কলেজ জীবন শেষ। তখনও হয়তো এই পোলাপানের অজানাই ছিলো ব্রিটিশরা এই উপমহাদেশে চা পানে অভ্যস্ত করে তুলতে প্রথমে নামে মাত্র মূল্যে এবং সর্বোপরি বিনামূল্যে চা পান করাতো এদেশের লোকজনদের। টেলিটক থ্রি জি সিমের "বাঁধ ভেঙে দাও" এই স্লোগান এই ১৫ ব্যাচই প্রথম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বাঁধ ভেঙে দিয়েছিলো।
-
২০১৫ সালে এই অভাগা ব্যাচটাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবরোধের মধ্যেই পরীক্ষা দিতে বসেছিলো!!
-
এইচএসসি পরীক্ষা শেষ সবাই তখন ভর্তির কোচিং কোথায় করবে সেই নিয়ে মহাচিন্তায়, কারন তখন দেশে হরতাল, অবরোধের নামে অাগুনসন্ত্রাস চলছিলো। পেট্রোলবোমায় যাত্রীবাহী বাস জ্বলছে, মানুষ কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। কত মায়ের কোল খালি হলো সেই বছর।
-
তারপরও সমস্ত বাধাবিপত্তিকে বুড়ো অাঙুল দেখিয়ে এই অদম্য ১৫ ব্যাচের ছেলে মেয়েরা একবুক অাশা নিয়ে ভর্তি কোচিংয়ের জন্য ছুটাছুটি করেছে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
-
২০১৫-১৬ সেশনের মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় জঘন্যতম প্রশ্নফাসের শিকার এই ব্যাচটাই যখন প্রথমবারের মতো ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ হয় এই প্রশ্নফাঁসের কারনে। কর্তৃপক্ষ বরাবরই অস্বীকার করেছে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টা। তবুও এই কলঙ্ক অাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে ২০১৫-১৬ এর ভর্তি হওয়া ভবিষ্যতের ডাক্তারদের (!!)।
-
এই '১৫ব্যাচ যখন একাডেমিক পড়াশুনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের মোহে বিভোর, কারো হয়তো স্নাতক শেষ, কারো শুধু ফাইনাল পরীক্ষাটা বাকী, কারো হয়তো ইন্টার্নশিপ চলে, ঠিক এই সময়েই মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় পুরো পৃথিবী অাজ স্তব্ধ!!!!
হঠাৎ করে থমকে গেছে যেনো সবকিছু...............
-
হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, অাসবে নতুন ভোর। এই দুর্বিষহ বন্দী জীবন শেষ হবে, পৃথিবী ফিরে পাবে তার গতিশীলতা। অাবার হয়তো নতুন কোন ঘটনা, স্বাক্ষী হবে এই '১৫ ব্যাচ। সেই দিনের অপেক্ষা....................!
এইচএসসি'১৫ নামে একটা ব্যাচ ছিলো।
সেই ব্যাচটা যখন ২০০৭ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে, কিছুদিন পরেই প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে হাইস্কুলে পদার্পণের দিনক্ষণ গুনছে তখনই ঘটে গেলো স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সামুদ্রিক ঝড় ‘সিডরের' ধ্বংসযজ্ঞ।
-
এই ব্যাচটাই যখন ২০১০ সালে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে, নিম্ন-মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে প্রবেশ করার অাশায় বিভোর, তখনই প্রথম বারের মতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা চালু হলো যেখানে অাবার একদিনে ২ টা করে পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো, সকালে ইংরেজি প্রথম অাবার বিকেলে ইংরেজি দ্বিতীয়।
-
২০১৩ সালে যখন এই থারটিন ব্যাচ এসএসসি পরীক্ষা দিতে বসলো, তখন দেশ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল। পরীক্ষার হলে বসে "যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই স্লোগান" শুনতে শুনতে এসএসসি পরীক্ষা টা শেষ করলো।
-
২০১৩ সালের মাঝামাঝি এই ব্যাচ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। ২০১৩ এর শেষের দিকে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড "তোমরাই সেরা, তোমরাই অাগামীর" এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ঘোষনা দেয় এসএসসি তে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত দের বিনামূল্য টেলিটকের স্পেশাল প্যাকেজ সংবলিত অাগামী সিম উপহার হিসেবে দিবে। ফ্রি সিমের দুর্দান্ত সব অফার ভোগ করতে করতে কলেজ জীবন শেষ। তখনও হয়তো এই পোলাপানের অজানাই ছিলো ব্রিটিশরা এই উপমহাদেশে চা পানে অভ্যস্ত করে তুলতে প্রথমে নামে মাত্র মূল্যে এবং সর্বোপরি বিনামূল্যে চা পান করাতো এদেশের লোকজনদের। টেলিটক থ্রি জি সিমের "বাঁধ ভেঙে দাও" এই স্লোগান এই ১৫ ব্যাচই প্রথম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বাঁধ ভেঙে দিয়েছিলো।
-
২০১৫ সালে এই অভাগা ব্যাচটাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবরোধের মধ্যেই পরীক্ষা দিতে বসেছিলো!!
-
এইচএসসি পরীক্ষা শেষ সবাই তখন ভর্তির কোচিং কোথায় করবে সেই নিয়ে মহাচিন্তায়, কারন তখন দেশে হরতাল, অবরোধের নামে অাগুনসন্ত্রাস চলছিলো। পেট্রোলবোমায় যাত্রীবাহী বাস জ্বলছে, মানুষ কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। কত মায়ের কোল খালি হলো সেই বছর।
-
তারপরও সমস্ত বাধাবিপত্তিকে বুড়ো অাঙুল দেখিয়ে এই অদম্য ১৫ ব্যাচের ছেলে মেয়েরা একবুক অাশা নিয়ে ভর্তি কোচিংয়ের জন্য ছুটাছুটি করেছে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
-
২০১৫-১৬ সেশনের মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় জঘন্যতম প্রশ্নফাসের শিকার এই ব্যাচটাই যখন প্রথমবারের মতো ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ হয় এই প্রশ্নফাঁসের কারনে। কর্তৃপক্ষ বরাবরই অস্বীকার করেছে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টা। তবুও এই কলঙ্ক অাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে ২০১৫-১৬ এর ভর্তি হওয়া ভবিষ্যতের ডাক্তারদের (!!)।
-
এই '১৫ব্যাচ যখন একাডেমিক পড়াশুনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের মোহে বিভোর, কারো হয়তো স্নাতক শেষ, কারো শুধু ফাইনাল পরীক্ষাটা বাকী, কারো হয়তো ইন্টার্নশিপ চলে, ঠিক এই সময়েই মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় পুরো পৃথিবী অাজ স্তব্ধ!!!!
হঠাৎ করে থমকে গেছে যেনো সবকিছু...............
-
হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, অাসবে নতুন ভোর। এই দুর্বিষহ বন্দী জীবন শেষ হবে, পৃথিবী ফিরে পাবে তার গতিশীলতা। অাবার হয়তো নতুন কোন ঘটনা, স্বাক্ষী হবে এই '১৫ ব্যাচ। সেই দিনের অপেক্ষা....................!
কোন মন্তব্য নেই