এখনও খেলে চলেছি-শামী

মাঠে পার্বণঃ
শুধু চোটাক্রান্ত মুশিকে ম্যাশ বা চোটাক্রান্ত আমিরকে সরফরাজই নন, জানা গেল চোটাক্রান্ত শামিকে ময়দানী লড়াই চালিয়ে যেতে মদদ দিয়েছিলেন ধোনিও!
২০১৫বিশ্বকাপ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সেই বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ১৭.২৯ গড়ে সাত উইকেট নিয়েছিলেন শামি। আট ম্যাচে ১৮উইকেট নিয়েছিলেন উমেশ যাদব। তিনিই ছিলেন দলের সফলতম বোলার। উমেশের পরে তালিকায় দুই ছিলেন শামি।
২০১৫ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে শামি বলেন, “কখনও কখনও সামনে এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকে যে খেলতেই হয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে যেমন হাঁটুতে চোট ছিল আমার। হাঁটতেই পারছিলাম না। পেনকিলার ও ইনজেকশন নিয়ে কাজ চালাচ্ছিলাম। ফিজিয়ো নীতিন পটেল এই সময় খুব সাহায্য করেছিল। বিশ্বকাপে পুরো খেলতে পারার আত্মবিশ্বাস ওই আমাকে দেয়। তখন আমার হাঁটুতে একটা অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল যে যন্ত্রণা সহ্য করতে পারলে বিশ্বকাপে চালিয়ে দিতে পারব।”
শামি বলেছেন, “বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হাঁটুতে চোট পেয়েছিলাম। ফুলে গিয়ে ঊরুর মতো দেখাচ্ছিল হাঁটু। প্রত্যেক দিন ডাক্তাররা ফ্লুইড বের করছিল। দিনে তিনটে করে পেনকিলার খেতে হচ্ছিল।” সেই সময় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির আস্থা ছিল তাঁর উপর।
সেবার সিডনিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। শামি বলেছেন, “সেমিফাইনালের আগে দলকে বলেছিলাম যে আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। মাহিভাই ও ম্যানেজমেন্ট আমার উপর ভরসা রেখেছিল সেই অবস্থাতেও। যাই হোক, প্রথম স্পেলে গিয়েছিলাম মাত্র ১৩ রান। তার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মাহিভাইকে বললাম যে আর বেরিয়ে যেতে পারছি না। কিন্তু ও বলল যে পার্ট-টাইম বোলারদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। আমি যেন ৬০রানের বেশি না দিই, সেই চেষ্টা করতে বলল। আমি এমন অবস্থায় আগে কখনও পড়িনি। অনেকেই বলেছিল যে, আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও খেলে চলেছি।”
কোন মন্তব্য নেই