আমরা নারী আমরাই পারি ।
আমরা নারী আমরাই পারি ঃ বুশরা ইসলাম
পার্বণ ডেস্কঃ
সাম্যর কবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন,
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যানকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা সেখানে নারী সেখানে নারীকে বাদ দিয়ে বিশ্বের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব না।
একটা সময় সবার ধারণা ছিল নারীরা ঘরে থাকবে সংসার সামলাবে সন্তান লালন-পালন করবে এটাই নারীদের কাজ। নারীরা সারাজীবন পুরুষের অনুগ্রহে বাঁচবে। কিন্তু এখন সময় বদলেছে নানা প্রতিকুলতা পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এবং অবদান দিন দিন বাড়ছে।নারীরা ঘরের বাইরে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতা মূলক কাজে পুরুষের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে নারীরা সমান তাল মিলিয়ে।
নারীর জয়যাত্রা এখন সর্বত্রই। নারী তার নিজ মেধা যোগ্যতায় স্থান করে নিচ্ছে সাফল্যের সর্বোচ্চ স্বর্ণশিখরে। সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি এখন বদলে গেছে নারীর প্রতি। গৃহে এবং বাহিরে দুই জায়গাতেই নারী দশপূজা হয়ে উঠেছে।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে যে রাঁধে সে চুলও বাধে।পরিবার,কর্মক্ষেত্র সর্বত্রই নারী নেমেছে চ্যালেন্জ নিয়ে। কর্মজীবী নারীর চ্যালেন্জটা একটু বেশি সংসার সন্তান সামলিয়ে কর্মক্ষত্রেও দিতে হচ্ছে সমান গুরুত্ব।উচ্চ শিক্ষায় শিখিত হয়ে বিজ্ঞানি,উদ্যোক্তা, প্রকৌশলী, শিক্ষক, স্থপতি, চিকিৎসক, ব্যাংকার,নির্মাতা থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মী পদেও পুরুষের সাখে পাল্লা দিয়ে সমান তালে কাজ করছে নারী।
শুধু এগুলোই নয় বসত বাড়িতে হাস,মুরগী, গরু,ছাগল,পালন করেও অসংখ্য নারী সাবলম্বী হচ্ছে ধরছে সংসারের হাল।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের বাংলাদেশের নারীরাও।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী,সংসদের স্পিকার সংরক্ষিত আসনের অনেক সাংসদ সদস্য,মন্ত্রী,সচিব, ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নারী। সবাই নিজ নিজ কার্যলয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছে এবং সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন।
পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার,বিজিবি,সব ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ করছে নারীরা।আকাশ থেকে শুরু করে এভারেস্টের সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌছে পদচিহ্ন একে চলেছেন বাংলাদেশের অদম্য নারীরা।এছাড়া বিট্রিশ পার্লামেন্টেও বিপুল ভোটে জয়ি হয়েছেন বাংলাদেশের তিন নারী টিউলিপ সিদ্দিক, রুপা হক,ও রুশনারা আলী
বিশ্ব উন্নয়নে নারীর জুড়ি মেলা ভার। নারীরা চাইলে সবই করতে পারে। নারী তরলের মতো তাদেরকে যেই পাত্রে রাখা যায় সেই আকার ধারণ করে তারা।
কোন মন্তব্য নেই