বর্ষায় প্রকৃতির রূপ -
বর্ষায় প্রকৃতির রূপ -
বুশরা ইসলাম :
বংলার প্রকৃতিতে রূপের পসরা সাজিয়ে ঋতুর পর ঋতু আসে। কখনো শিতের হিম হিম পরশে কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারদিকে নিরব নিস্তব্ধ পরিবেশ। কখনো চৈতালি কাঠ ফাটা রোদ্দুর, কখনো রাতের অন্ধকারে ঝিঁঝি পোকার গুঞ্জন। আবার কখনো শরতের কাশফুলের মিষ্টি গন্ধে শরতের সাদা মেঘ গুড় গুড়।আবার কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নিয়ে আসে বর্ষা। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। তার মধ্য দ্বিতীয় ঋতু বর্ষা। গ্রীষ্মের সূর্যের কাঠফাটা রোদে যখন নদী-নালা,খাল- বিল, পুকুর শুকিয়ে যায়। গাছপালা শুকিয়ে মরার মতো হয়ে যায়। মাঠ-ঘাট শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায় ঠিক তখনই বর্ষার আগমন ঘটে নতুন প্রাণের জোয়ার নিয়ে। কালো মেঘে আচ্ছন্ন আকাশ, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর বইছে বাতাস। মাঠ -ঘাট,খাল- বিল পানিতে থৈথৈ, সেই পানিতে ভেসে বেড়ায় সরপুঁটি আর কৈ। বর্ষাকালে বেশিরভাগ সময়ই আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন থাকে।গুড়ুগুড়ু শব্দে মেঘ ডাকে বিদ্যুৎ চমকায় বজ্রপাত হয়। কখনো কখনো ভাড়ি বৃষ্টি আবার কখনো হয় হালকা বৃষ্টি।ভাড়ি ঝমঝমে বৃষ্টিতে চারদিকে ঝাপসা দেখা যায়।বর্ষার পানিতে চারদিকে নদী-নালা, খাল- বিল পুকুর থৈথৈ করে গাছপালা সতেজ হয়।। বাহারি ফুলের সমাহার নিয়ে প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলতে আগমন হয় বর্ষার।
রজনীগন্ধা,জুঁই, কদম, কলমি ফুল, বকুল, শাপলা,দোলনচাঁপা প্রভৃতি ফুলের মেলা বসে যায়। প্রকৃতিকে নববধূর সাজে সজ্জিত করে বর্ষা।
কোন মন্তব্য নেই