নারীরা নির্যাতিত নিপিড়ীত।
বুশরা ইসলামঃ
নির্যাতনের নারকীয় তান্ডব চলছে গোটা বিশ্বে। সৃষ্টির সেই আদিকাল থেকেই নারীরা নানা রকমভাবে হয়ে আসছে নির্যাতিত নিপিড়ীত।
আমাদের এই জনপদে শাশুড়ী পুত্রবধু দ্বন্দ্বে কতো নারীর প্রাণ ঝড়েছে। শাশুড়ী পুত্রবধু থাকাকালে শশুরালয়ে যে অত্যাচার সহ্য করেছে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে তার পুত্রবধুর উপরও তার অতিতে ঘটে যাওয়া একই ঘটনা ফলাচ্ছে।
আমাদের এই জনপদে শাশুড়ী পুত্রবধু দ্বন্দ্বে কতো নারীর প্রাণ ঝড়েছে। শাশুড়ী পুত্রবধু থাকাকালে শশুরালয়ে যে অত্যাচার সহ্য করেছে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে তার পুত্রবধুর উপরও তার অতিতে ঘটে যাওয়া একই ঘটনা ফলাচ্ছে।
নারীরা বরাবরই পুরুষের অনুগ্রহে থাকতে চান। শৈশবে বাবা-ভাই যৌবনে স্বামী আর বার্ধক্যে পুত্রের ছায়ায় থাকতে চাওয়া নারীটি পুত্রবধুর হাতে পুত্রের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি মেনে নিতে না পেরে হয়ে ওঠেন হিংস্র। আর শাশুড়ী ননদ বধু দ্বন্দ্বে নিরীহ স্বামী ও হয়ে ওঠেন বিষহ।খবরের কাগজ খুললেই আজকাল প্রায়ই চোখে পড়ে গৃহবধূ নির্যাতনের নানা খবর। সেগুলো খুটিয়ে দেখলে দেখা যায়, গৃহবধূ হত্যাকালে গলা টিপে ধরেছে স্বামী আর হাত পা চেপে ধরে রেখেছে শাশুড়ী ননদ। গৃহবধূর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে স্বামি কেরোসিন আর দিয়াশলাই যোগান দিয়েছে শাশুড়ী ননদ। পতিতালয়ে বেশির ভাগ নারীর পতিতাবৃত্তির গল্প শুনলেই জানা যায় সৎমার অত্যাচারে ঘর ছাড়া অথবা শশুরালয়ের অত্যাচারে ঘর ছাড়া নারী কোথাও স্থান না পাওয়া।
এছাড়াও নানাভাবে প্রতিনিয়ত নারীরা অত্যাচারিত হচ্ছে অধিকাংশ নারী যৌতুকলোভী সংকীর্ণ স্বামী শশুর শাশুড়ী কতৃক নির্যাতিত হচ্ছে।তাদের উপর এসিড নিক্ষেপ করা হচ্ছে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জোরপূর্বক তালাক দেওয়া হচ্ছে যৌতুকের জন্য।
কিছু পশুসুলভ পুরুষদের দ্বারা নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে এবং কি এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও প্রায়ই শোনা যায় শিশু ধর্ষনের পর তাকে হত্যা করা হচ্ছে। আদিমযুগের মানুষ ছিল অশিক্ষিত বর্রর তাই তারা নারীদের উপর নির্যাতন করতো পশুসুলভ আচরন করতো নারীদের সাথে। কিন্তু গোটা বিশ্ব আজ যখন শিক্ষিত জাতিতে পরিনত হয়েছে তবুও কমে নি নারী নির্যাতন নারীরা আজও কোথাও নিরাপদ নয়।
তাই এই নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে পুরুষ সমাজকে। পুরুষ সমাজকে সচেতন হতে হবে এবং মানবতাবোধকে জাগ্রত করতে হবে।পূর্ণাঙ্গভাবে নারী নির্যাতন দমন আইন কার্যকর না হাওয়ায় বেশির ভাগ নারীরা প্রতিবাদ করতে পারে না। আবার প্রতিবাদ করলেও দেখা যায় সুষ্ঠ বিচারের অভাবে তা দমিয়ে যায়।তাই নারী নির্যাতিত ব্যাক্তিদের শাস্তি পূর্ণাঙ্গরুপে আরোপ করতে হবে এবং কঠোর শান্তির আওতায় আনতে হবে।তবেই নারী নির্যাতন দমন করা যাবে।এবং নারীরা স্বাধীন ও নিরাপদে বাচতে পারবে।
কোন মন্তব্য নেই