সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ঘুমাচ্ছে, শুকনো মৌসুমে পানি না থাকায় কোটি কোটি টাকা লস হচ্ছে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীদের।

মোঃ নুরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশের সাদা সোনাখ্যত চিংড়ি শিল্প ধংস হয়ে যাচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের পরিকল্পনার অভাবে। চিংড়ি চাষের ভরা মৌসুম চললেও শাখা নদী বা খাল গুলো দিন দিন ভরাট হওয়ার কারনে মৎস্য ঘেরে পানি দিতে পারছে না শত শত ঘের মালিক। যার ফলে কোটি কোটি টাকা লচ হচ্ছে শতশত ঘের ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ঘুমিয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ! সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়নে অনেকেই অন্যের জমি লিচ নিয়ে ঘের ব্যবসা করছেন, আবার কেউ কেউ নিজের জমিতে ব্যাংক, এনজিও অথবা মহাজনি চড়া সুদে টাকা নিয়ে ঘের ব্যবসা করছেন। কিন্তু শাখা নদী বা খালে পানি না থাকায় হতাশ ঘের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া খালগুলো পলিজমে ভরাট হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ঠিক সময়ে পানি নিষ্কাসন হয় না, যে কারণে অল্প বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয় এই অঞ্চলে। এদিকে খালগুলো ভরাট হওয়ায় যে যার মতো দখল করে নিচ্ছে। কেউ নেট পাটা দিয়ে দখল করে মাছ চাষ করছে, কেউ দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছে। এ যেনো মগের মুল্লুকে পরিনত হয়েছে। যদিও এলাকায় প্রচলন আছে, যারা খাল দখল করে তারা প্রভাবশালী! তাহলে সরকারের চেয়েও কি দখলদারদের হাত শক্তিশালি! দখলদারদের হাত শক্তিশালী না হলে, তাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারছে না কেন সরকার? এসব প্রশ্ন সচেতন মহলের। নদী বা খালগুলো ভরাট ও দখল হওয়ার কারনে পরিবেশের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। এবিষয়ে দেখার কেউ আছে বলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর। উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের খালগুলো দখলদাররা দখল করে নিচ্ছে। এভাবে পলিজমে ভরাট ও দখলে চলে গেলে কাগজে কলমে ছাড়া বাস্তবে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না খালের অস্তিত্ব। সরজমিন যেয়ে দেখা যায়, উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভৈরবনগর এলাকায় একটি খাল ভরাট হয়ে গেছে, সেখানের মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা ভরা মৌসুমে ঘেরে পানি তুলতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। শুকর আলী নামে একজন মৎস্য ঘের ব্যবসায়ি বলেছেন, খালে পানি না থাকায় প্রায় দুই মাস ঘেরে পানি তুলতে পারছিনা। আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তিনি জনপ্রতিনিধিদের দায়ী করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে খালে পানি রাখার জন্য খাল খনন করতে পারে। কিন্তু তারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ভরাট খালগুলো যেনো দুরুত সময়ের মধ্যে খনন করে জোয়ার ভাটার পানি স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে সেই দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী মহল।
কোন মন্তব্য নেই